ফারসি শব্দ নির্ণয়ের ৪ কৌশল , সরকারি চাকরির বাংলা প্রস্তুতি


১. ‘আইন’ শব্দটি ফারসি। তবে আইন সংক্রান্ত সব শব্দ আরবি। যেমন: হাকিম, এজলাস, আদালত, মুহুরি ইত্যাদি।
২. শব্দের শেষে যদি ‘কর’ বা ‘গর’ থাকে এবং তা যদি পেশা বোঝায় তা হলে তা ফারসি শব্দ হবে। যেমন: জাদুকর, সওদাগর, কারিগর ইত্যাদি। তবে অজগর, সাগর কিংবা আয়কর জাতীয় শব্দগুলো ফার্সি নয়। কারণ বলা আছে, শব্দের শেষে ‘কর’ বা ‘গর’ থাকলেই হবে না সেগুলো কোনো পেশার নামও বোঝাতে হবে।
৩. দার, বাজ, বন্দি, সই, চি, নবীশ- এ ৬টি প্রত্যয় যদি কোনো শব্দের শেষে যুক্ত হয় তাহলে তা ফারসি শব্দ হবে। উদাহরণগুলো দেখে নিই:
দার: জমিদার, তালুকদার, ঝাড়ুদার, ইত্যাদি।
বাজ: দূর্নীতিবাজ, বোমাবাজ, ধোঁকাবাজ ইত্যাদি।
বন্দি: রাজবন্দি, জবানবন্দি, কারাবন্দি ইত্যাদি।
সই: টিপসই, জুতসই, মানানসই, চলনসই। তবে নামসই এবং বন্ডসই এ দুটো ফারসি শব্দ নয়।
চি: উদিচী, বইচি, তবচি ইত্যাদি। তবে বাবুর্চি শব্দটি তুর্কি শব্দ।
নবীশ: শিক্ষানবীশ, নকলনবীশ ইত্যাদি।
৪. নীল, চকলেট, কালো এবং মেজেন্ডা বাদে বাকি সব রংয়ের নাম ফারসি শব্দ থেকে এসেছে। যেমন: লাল, বেগুনি, হলুদ, আসমানি ইত্যাদি।
এ কৌশলগুলোর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই অনেক ফারসি শব্দ আয়ত্ব করতে পারব। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অন্যসব ফারসি শব্দগুলোও জেনে নেয়া চাই।
 ফারসি ইরানের ভাষা। ফরাসি ফ্রান্সের ভাষা।
Previous
Next Post »